সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
সফরকারী অধিকাংশ দলই বাংলাদেশের আবহাওয়াকে তাদের বড়ো প্রতিপক্ষ মনে করলেও আফগানিস্তানের বেলায় সেটা ভিন্ন। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতভাবেই অংশ নিচ্ছে আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা। যে কারণেই এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে তারা পরিচিত। তাদের বিশ্বাস এখানকার কন্ডিশন তাদের জন্য মোটেও দুর্বোধ্য নয় এবং এটাই একটা সুবিধা হিসেবে দেখছে আফগানিস্তান দল।
সাংবাদিকদের নবী বলেন, ‘এখানকার আবহাওয়া কোনো বিষয় নয়। কেননা আমরা মাত্র আবুধাবি থেকে এসেছি, যেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আমরা সেখানে দশ দিন কাটিয়েছি। সুতরাং এর সঙ্গে আমরা অনেকটাই অভ্যস্ত। এখানকার (চট্টগ্রামে) আর্দ্রতা কিছুটা বেশি। তবে আশা করছি চার-পাঁচ দিনে আমরা এটা মানিয়ে নিতে পারব। গত পাঁচ-ছয় বছর যাবৎ আমরা নিয়মিতভাবে এখানে খেলতে আসছি। আমাদের দলের অধিকাংশ সদস্যই এ ধরনের কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত।’
টেস্ট ক্রিকেটে তার দল নতুন হওয়ায় নবী বরং ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার ওপর গুরুত্ব দেন, ‘টেস্টে আমরা ইতিবাচক খেলতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমি মনে করি, উভয় দলের জন্যই বাড়তি পাওনা হচ্ছে তারা এশিয়ান কন্ডিশনে অভ্যস্ত এবং এশিয়ান খেলোয়াড়।’
নিজ মাঠে টেস্টে সাধারণত চার স্পিনার নিয়ে সেরা একাদশ সাজায় বাংলাদেশ, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে নবীর মতে, বাংলাদেশের পেসাররাও হুমকি হয়ে উঠতে পারে। ধৈর্য এবং ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে নিজ দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি, ‘ভালো স্পিন আক্রমণ ছাড়া তাদের ভালো ফাস্ট বোলারও রয়েছে। আমার মনে হয় পিচ খুব বেশি বাউন্সি হবে না।’