সিল্কসিটিনিউ্জ ডেস্ক:
ক্ষতিকারক রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আরও এক হাজার ১০০ মণ আম জব্দ করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার বিএসটিআই’র সহযোগিতায় রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের মাজার রোড এলাকার ফলের আড়তে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় জড়িত ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পরে আদালতের নির্দেশে জব্দ করা আম স্থানীয় বালুরমাঠে নিয়ে ধ্বংস করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার যাত্রাবাড়ীতে এক হাজার মণ আম ও ৪০ মণ খেজুর ধ্বংস করা হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সমকালকে বলেন, অপরিপক্ক আম ক্ষতিকারক রাসায়নিক ইথোফেন ও ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। এসব আম বাইরে থেকে পাকা দেখালেও ভেতরে কাঁচাই থাকছে। এই অপরাধে ১৪টি আড়তের আম জব্দের পাশাপাশি ছয়জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন- ফয়সাল আহমেদ, নুরুল, তাবারুল, রমজান আলী, আবদুস সোবহান ও মনিরুল ইসলাম। দোষ স্বীকারের ভিত্তিতে তাদের সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্টেট জানান, ‘আম ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী পাকা আম পেতে আরও অন্তত ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা তার আগেই রাসায়নিক ব্যবহার করে অপরিপক্ক আম পাকাচ্ছেন। রাসায়নিক ইথোফেনের বোতলে লেখা আছে তা ফল পাকানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। তবু কিছু ব্যবসায়ী তা ফল পাকাতে ব্যবহার করছেন। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ইথোফেন দেওয়া ফল খেলে পেটের পীড়া ও চর্মরোগসহ দীর্ঘমেয়াদী অসুখ হচ্ছে। সকালের অভিযানে র্যাব-৪ ও বিএসটিআই’র কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার যাত্রাবাড়ীর ফলের আড়তে অভিযান চালায় র্যাব-১০ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সেখানে রাসায়নিক দিয়ে কৃত্রিমভাবে পাকানো প্রচুর আম পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে পাওয়া যায় মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর। এসব অপরাধে নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ধ্বংস করা হয় এক হাজার মণ আম ও ৪০ মণ খেজুর।
১৫ মে অপর অভিযানে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কারওয়ান বাজারে রাসায়নিকে পাকানো ৬০০ মণ আম ধ্বংস করেন। তখন র্যাব জানায়, ইথোফেন, কার্বাইড ও অন্যান্য ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি দ্রবণ আমের ঝুড়িতে স্প্রে করা হয়। এতে দুই-একদিনের মধ্যে আম পুরোপুরি হলুদ রং ধারণ করে ও পেকে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।