ভারত বিশ্বকাপের পরপরই পাকিস্তান ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন ওয়াসিম আকরাম। দলটির ক্রিকেটাররা কোনো রকম ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই দলে খেলছে, এমনটাই দাবি করেছিলেন সাবেক এই ক্রিকেটার। এবার একই অভিযোগ তুললেন মোহাম্মদ হাফিজ।
দলে টিকে থাকার জন্য খেলোয়াড়দের ফিটনেস ঠিক রাখাটা বেশ জরুরী। তাই ক্রিকেট বোর্ডগুলো বিপ টেস্ট, ইয়ো ইয়ো টেস্টের মত ফিটনেসের জন্য নির্ধারিত মানদণ্ডের সামনে দাঁড় করায় ক্রিকেটারদের। সেখানে পাকিস্তান ক্রিকেটাররা কোনো রকম ফিটনেস টেস্ট ছাড়াই দলে খেলে যাচ্ছেন। এমন কথাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের সদ্য বিদায়ী প্রধান কোচ হাফিজ।
মূলত দলটির সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম ও ডিরেক্টর মিকি আর্থার ফিটনেস টেস্ট সংস্কৃতি বন্ধ করেছিলেন। তাদের পরিকল্পনা ছিলো খেলোয়াড়রা যেভাবে চান সেভাবেই খেলতে পারবে। দায়িত্ব নেয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলের ট্রেইনার তাকে এমন তথ্য দিয়েছেন। দ্য প্যাভিলিয়ন শোতে এমন সব অভিযোগ করেছেন হাফিজ।
সাবেক এই ডিরেক্টর বলেন, ‘আমরা যখন অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলাম, তখন খেলোয়াড়দের ফিটনেসের যত্ন নিতে বলেছিলাম। সে সময় আমি ট্রেইনারকে খেলোয়াড়দের ফিটনেস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি আমাকে চমকে যাওয়ার মত কথা বলেন। ছয় মাস আগে অধিনায়ক (বাবর) ও ডিরেক্টর (আর্থার) বলেছিলেন খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষা বন্ধ করতে এবং খেলোয়াড়রা যেভাবে চান, সেভাবে খেলতে দিতে।’
দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে হাফিজ জানান, ‘যখন খেলোয়াড়দের চর্বির মাত্রা পরীক্ষা করা হয়, তখন তাদের সবার ত্বকের ভাঁজ বেশি ছিল। তারা অযোগ্য ছিল এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ ২ কিলো মিটার ট্রায়াল সম্পূর্ণ করতে পারেনি। ৬ মাস আগে নেয়া সিদ্ধান্তটি ফিটনেসের জন্য নির্ধারিত মানদণ্ডকে বাতিল করেছিল। ফিটনেস যদি এমন হয় তবে, আপনি পরাজয়ের মুখোমুখি হবেনই।’