সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: একদিকে যেমন তারকা খেলোয়াড়দের ঘিরে সাজানো হয় একটি দলের খেলার কৌশল।অপরদিকে প্রতিপক্ষও সেই খেলোয়াড়কে আটকাতে কষেণ অন্য কোনো কৌশল। কিন্তু তাই বলে ৯০ মিনিটের একটি ম্যাচে একজন ফুটবলারকে দশবার ফাউল করার ঘটনা বেশ দৃষ্টিকটু।
এমনটাই ঘটেছে চলতি রাশিয়া বিশ্বকাপে রোববারের (১৭ জুন) ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ডের ম্যাচে।ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমারকে ১০ বার ফাউল করা হয়েছে। তবে ফাউল দিয়েই নেইমার উঠে গেছেন এক রেকর্ডের তালিকায়। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের চেয়ে একবার বেশি (১১ বার ফাউলকরা হয়) ফাউল হয়ে ইংলিশ ফুটবলার অ্যালান শেরির আছেন তালিকার শীর্ষে।
বার বার ফাউল হওয়ার ফলে শেষ পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন সদ্যই ইনজুরি থেকে ফেরা প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) তারকা নেইমার। তবে অনেকে আবার বলছেন, নেইমারের ফিটনেসের অভাব রয়েছে যা তাকে বার বার পরে যেতে বাধ্য করেছে।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে সুইজারল্যান্ডের রক্ষণভাগের ফুটবলার স্তেফান লিখস্টাইনার বলেই রেখেছিলেন, তারা নেইমারের জন্য বিশের পরিকল্পনা নিয়েছেন। বলা যায় ২৬ বছর বয়সি নেইমারকে আটকাতে দলের উপর তার প্রভাব কমিয়ে দেওয়াই হয়তো সুইচদের পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু এভাবে নেইমারকে আটকে রাখা কতোটা সঠিক তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
ম্যাচের প্রথমদিকেই ভালোন বেহরামি নেইমারকে ধাক্কা দেন। এর আগে অবশ্য গ্রানিত শাহাকা নেইমারের জার্সি টেনে ধরেন। হয়তো এক বা দুবার এমন কিছু খেলার মধ্যে হয়েই থাকে। তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে যেন ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। রেফারিও একাধিকবার নেইমারকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন,কিন্তু পেরে ওঠেননি। এতোবার ফাউলের বিষয়টি নেইমার নিজেও রেফারির নজরে আনেন।
কোনো বিশ্বকাপে এক ম্যাচে নেইমারের থেকে বেশিবার ফাউল হয়েছেন ইংলিশ ফুটবলার অ্যালান শেরির। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে তিউনিশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ১১বার ফাউলের শিকার হয়েছিলেন শেরির।
গেলো ফেব্রুয়ারি থেকে হাঁটুর ইনজুরিতে ভোগা নেইমার বিশ্বকাপের কিছুদিন আগেই ফিরেছেন মাঠে।শতভাগ সুস্থ না হয়েই নেমেছিলেন বিশ্বকাপ খেলতে। তবে রোববারের ম্যাচের ধাক্কা কতোটা সহ্য করতে পারবেন সেটাই দেখার অপেক্ষা। সোমবার সকালে নেইমারের শারীরিক পরীক্ষা করবেন দলের চিকিৎসক। এরপরেই বোঝা যাবে কতোটা সুস্থ আছেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।