সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা তখন শেষ। চতুর্থ রেফারির দেওয়া ৯ মিনিটের সংযুক্ত সময়ের খেলা চলছে।
২-১ ব্যবধানে এগিয়ে জাপান। খেলা শেষ হতে আর মাত্র বাকি ২ মিনিট। নিজের গোল ছেড়ে জাপানের অর্ধে উঠে গেলেন জার্মান অধিনায়ক। যদি কোনও ভাবে সমতা ফেরানো যায়।
এগিয়ে থাকা জাপানের সব ফুটবলারই তখন নিজেদের অর্ধে। গোলের সামনে অনেকটা প্রাচীর তৈরি করে রাখেন তারা। লক্ষ্য একটাই, যে কোনও মূল্যে দূর্গ রক্ষা করা।
দু’দলই তখন মরিয়া। জাপান চাইছে ব্যবধান বজায় রাখতে। আর জার্মানি চাইছে সমতা ফেরাতে। সময় যত এগোচ্ছে, তত চাপ বাড়ছে জার্মানদের ওপর। কারণ, সমতা ফেরাতে পারলেই একমাত্র লাভ।
হারের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা ন্যুয়ের তখন আর ব্যবধান বেড়ে যাওয়ার ভয় ভুলেছেন। দলের মান রক্ষা করতে জার্মান অধিনায়ক পৌঁছে গেলেন একদম জাপানের পোস্টের সামনে। গোল বাঁচাতে নয়, গোল করতে।
বদলে ফেললেন নিজের কাজ। একদম শেষ মিনিটে কর্ণার পেল জার্মানি। বল উড়ে এল জাপানের বক্সে। হেড করার জন্য মরিয়া হয়ে লাফ দিলেন ন্যুয়ের।
বলে মাথা ছোঁয়াতে পারলেন না। উঁচু বলের নাগাল পেলেন না জাপানের গোলরক্ষক গোন্ডাও।