সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই অত্যাধুনিক সব ধরনের ড্রোন ও ক্ষেণাস্ত্রের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ইরান। এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি তেহরানে দেশটির অত্যাধুনিক সব ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
ইরানের আধা সামরিক বিপ্লবী গার্ড জানিয়েছে, এইসব সমরাস্ত্রের মধ্যে এমন সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন রয়েছে যে গুলো সরাসরি ইসরাইলে আঘাত হানতে সক্ষম। ইরানের নাগরিকদের ইচ্ছে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন টরু প্রমিজ-থ্রি’ পরিচালনা করা হোক। যা ‘ওয়ান ও টুর’র চেয়ে আরো অনেক বেশি শক্তিশালী। এই অপারেশন সম্পর্কে নেতানিয়াহুর প্রশাসন কল্পনাও করতে পারবে না।
সমরাস্ত্র প্রদর্শনী দেখতে আসা এক ইরানি বলেছেন, ‘আমরা চাই অপারেশন টরু প্রমিজ-থ্রি প্রথম দু’টি হামলার চেয়ে আরো ভয়াবহ হোক। হামলা এমনিভাবে করতে হবে যাতে শত্রু পক্ষ বুঝতে পারে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে টিকে থাকা সম্ভব নয়।’
অপর এক ইরানি নাগরিক বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি যে, আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ও উন্নত হয়েছে। যা দেখে শত্রু পক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর বিষয়টি কল্পনাও করবে না।’
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়ে আরেক ইরানি বলেছেন, ‘আমরা যদি জবাব না দেই, তাহলে প্রতিপক্ষ আমাদের ওপর আরো চড়াও হবে। তাই আমি সরকারকে বলতে চাই, ইরানের মাটিতে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের কড়া জবাব দেওয়া হোক।’
এদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এমন সমরাস্ত্র প্রদর্শনী নেতানিয়াহু প্রশাসনের জন্য অনেকটা ভীষণ চাপ বলে মনে করছেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয গোয়েন্দা সংস্থার হিসেব অনুযায়ী মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ও শক্তিশালী ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে ইরানের কাছে। এই বিষয়ে ইরান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমরাস্ত্র হচ্ছে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এক্ষেত্রে ইরান অবশ্য পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি উল্লেখ করেনি।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন