উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনার পেছনে ১২ কারণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

রাজধানীর উত্তরায় উড়াল সড়কের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনার পেছনে ১২টি কারণ খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এর আগে দুর্ঘটনার পর ১৫ আগস্ট তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কথা জানিয়েছিল।

আজ রবিবার তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করে দুর্ঘটনার জন্য ১২টি কারণ জানানো হয়। এর আগে ৩০ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন সড়ক পরিবহন সচিবের কাছে জমা দিয়েছে কমিটি।

তদন্ত কর্মকর্তারা দুর্ঘটনায় পুলিশের মামলায় জেলে থাকা ছয় আসামির সঙ্গে কথা বলেছে। এ ছাড়াও ক্রেন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চীনা নাগরিকসহ ৪০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

এতে তারা দুর্ঘটনার জন্য অনুমতি ছাড়াই ১৫ আগস্ট ছুটির দিনে ক্রেন ব্যবহার, সহকারীকে দিয়ে ক্রেন চালানো এবং প্রথমবারের মতো দিনের বেলায় গার্ডার স্থানান্তরকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।

এ ছাড়াও ক্রেনটি লাইসেন্সহীন এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের নিয়োগ অনুমোদিত ছিল না বলে জানায় তদন্ত কমিটি। অসমতল স্থানে থাকা ক্রেনের ডিজিটল মনিটর ছিল না বলেও জানায় তারা।

একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে সুনির্দিষ্ট ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা না থাকা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কর্মীদের যোগ্যতা না থাকা, সেফটি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যোগ্যতা না থাকা, এমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট না থাকাকে দুর্ঘটনার কারণ বলছে তদন্ত কমিটি।  তদন্ত কমিটি নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ দোষীদের শাস্তির সুপারিশ করেছে।

এর আগে উত্তরায় গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি সে সময় দুর্ঘটনার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কথা জানিয়েছিল।

রাজধানীর উত্তরার জসিমউদ্দীন এলাকার আড়ং শোরুমের সামনে বিআরটির গার্ডার ক্রেনে তোলার সময় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই পাঁচ প্রাইভেট কার আরোহী নিহত হন। পরে প্রাইভেট কার কেটে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ