আশিকুর রহমান:
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে হয়রত শাহ মখদুম রুপোষ (র:) ঈদগাহ ময়দান। এর মধ্যে মাঠের প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, প্যান্ডেল নির্মাণের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা।
নগরীর এ মাঠে এবছর ঈদের জামাতে একসঙ্গে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
নগরীতে হয়রত শাহ মখদুম রুপোষ (র:) ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের প্রধান জামাত। তাই বিরামহীনভাবে চলছে মিনার এবং মাঠ ধোয়া-মুছা ও রং করার কাজ। সেইসঙ্গে চলছে ঈদগাহজুড়ে প্যান্ডেল তৈরির কাজও। যদিও ঈদের হাতে গনা আর মাত্র অল্প সময় বাকি আছে। এরই মধ্যে বাকি কাজও শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই প্যান্ডেলের কাজ শেষ করা হচ্ছে। কারণ এক-দুইদিন আগে বৃষ্টি হলেও যেনো নামাজ পড়া যায়। আর সেই জন্য পুরো প্যান্ডেল জুরে তৃপালের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১১০টি স্থানে ঈদের জামাতের আয়োজন করেছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। এ এলাকাগুলোতে মাঠ প্রস্তুতের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। ঈদে নগরবাসীরা যাতে নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারে সেই জন্য এতো আয়েজন করা হয়েছে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে।
ঈদের ষে প্রস্তুতি হিসেবে ডেকোরেটরেরর শ্রমিকরা সারদিন মাঠ তৈরির কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
ঈদগাহ ময়দানের প্যান্ডেল নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ফ্রেন্ডস ডেকোরেটর’র কর্মী মোহাম্মদ দুলাল সিল্কসিটি নিউজকে জানান, এখানে রাজশাহীল সব চেয়ে বড় ঈদের জামাত হয়। এখানে প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আমাদের ২০ থেকে ২২ জন শ্রমিক কাজ করছে। আশা করছি ঈদ যদি আগেই মাঠের সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরো জানান, এমনভাবেই ঈদগাহ ময়দানকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টিপাত হলেও মাঠে নামাজ আদায় করা সম্ভব হবে।
আর যদি নামাজ না পড়া যায় বৃষ্টির কারণে, সেক্ষেত্রে শাহ মখদুম দরগা মসজিদে আদায় করা হবে ঈদের নামাজ।
স/আর