মঙ্গলবার , ৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর
NBIU Spiring 2025 New Ad

ইসলামি মহাসম্মেলন: সাদপন্থিদের বিচারসহ ৯ দফা দাবি

Paris
নভেম্বর ৫, ২০২৪ ৩:২৩ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

তাবলিগ জামাতের ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যদি স্বঘোষিত আমির মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীদের এ দেশে আসতে দেওয়া হয়, তাহলে এই অন্তর্র্বতী সরকারকেই দেশ ছেড়ে পালাতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাবলিগ জামাতের একপক্ষের নেতারা।

‘দাওয়াত ও তাবলিগ, কওমি মাদরাসা এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষে’ উলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামি মহাসম্মেলন থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অফাবৎঃরংবসবহঃ

মহাসম্মেলন থেকে নয় দফা দাবি ঘোষণা এবং মোনাজাতের মাধ্যমে তা শেষ হয়েছে। এতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।

নয় দফা ঘোষণায় বলা হয়— তাবলিগ নিয়ে বিচ্ছিন্ন মহলের সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। আলেমদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শাপলা চত্বরের গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। ২০১৮ সালে টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে সাদপন্থিদের নৃশংস আক্রমণের বিচার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই মাওলানা সাদকে এদেশে আসতে দেওয়া হবে না। আলেমপন্থিদের বিশ্ব ইজতেমাই সরকারঘোষিত দুই পর্বে করতে দিতে হবে। কাকরাইল মসজিদ আজ থেকে কেবলমাত্র শুরায়ি নেজামের অধীনে পরিচালিত হবে এবং অভিশপ্ত কাদিয়ানিদের অবিলম্বে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।

ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যায় আলেম–উলামা জড়ো হন।

সম্মেলনে শীর্ষ আলেম বলেছেন, মানুষ কখনো নকল জিনিস গ্রহণ করে না। নকল বন্ধ করা সরকারের দায়িত্ব। নকল ধারার তাবলিগ চলতে পারে না। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে নকল তাবলিগ নানা সুবিধা নিয়েছে। তারা অন্তর্র্বতী সরকারের আশপাশেও ঘুরঘুর করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে।

সম্মেলনে হেফাজত আমির মাওলানা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা খলিল আহমাদ কাসেমী, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মাওলানা নুরুল ইসলাম আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, মাওলানা শায়খ জিয়াউদ্দিন, মাওলানা সাজিদুর রহমান, ফরিদাবাদের মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানি, মাওলানা সালাহউদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুস্তাক আহমদ, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করীম, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুফতি মনসুরুল হক, মাওলানা মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সূত্র: যুগান্তর