সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
ইরানে মাসাহ আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভে নারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর যৌন হেনস্তার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নারীদেরকে জোর করে গ্রেফতারের সময় তাদেরকে শ্লীলতাহানি করা হচ্ছে—এমন আলামত পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক দুটি ভিডিওতে। খবর বিবিসির।
একটি ভিডিওতে এক নারী বিক্ষোভকারীকে দাঙ্গা পুলিশ আটক করার সময় প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে যৌন হেনস্থা করার দৃশ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় বইছে।
অনেকেই ‘ন্যায়বিচার’ দাবিতে সরব হয়েছেন। আবার অনেকেই পুলিশ প্রধানের পদত্যাগ দাবি করছেন। এমনকি সরকারের কিছু কট্টর সমর্থকও এই যৌন লাঞ্ছনার নিন্দা জানিয়েছে।
তাদের মতে, ইসলামিক অনুশাসন মানে নারীদের পবিত্রতা রক্ষা করা। অথচ ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের বাহিনী এখন নারীদেরকেই যৌন হেনস্তা করছে।
স্যোশাল মিডিয়ার ওপর ইরানে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইরানিরা এখনও বিক্ষোভের ছবি কোনো না কোনোভাবে তাতে শেয়ার করছেন।
কয়েক বছরের মধ্যে ইরানে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভ দেশটির ধর্মীয় নেতাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত মাসে ঠিকমত হিজাব না পরায় মাসাহ আমিনি নামের ২২ বছরের এক কুর্দি তরুণীকে নৈতিক পুলিশ আটক করার পর তাদের হেফাজতে সেই তরুণীর মৃত্যু হলে ইরানজুড়ে এই তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
মাসাহ দাফনের দিন থেকে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তার আগুন এখন পুরো ইরানজুড়ে জ্বলছে। এবারের বিক্ষোভে নারীদের অংশগ্রহণও উল্লেখ করার মতো।
বিক্ষোভে এরই মধ্যে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তারপরও চলছে বিক্ষোভ। নিরাপত্তা বাহিনীর ধরপাকড়, গুলি, দমন-পীড়নেও বিক্ষোভ থামছে না।
ইরানের ভেতরে-বাইরে এই বিক্ষোভের অসংখ্য ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বসাম্প্রতিক ভিডিওটিতে যে ঘটনা দেখা গেছে, সেটি ঘটেছে বুধবার তেহরানের আর্জেন্টিনা স্কয়ারে।
ভিডিওতে সুরক্ষা পোশাক এবং হেলমেট পরা একদল পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রধান সড়কে একটি নারীকে ঘিরে থাকতে দেখা গেছে।
এক পুলিশ ওই নারীর ঘাড় ধরে তাকে টানতে টানতে মোটরসাইকেলে থাকা আরও প্রায় দু’ডজন পুলিশের ভিড়ের মধ্যে তাকে নিয়ে যায়।
নারী ওই বিক্ষোভকারীকে জোর করে একটি মোটরসাইকেলের কাছে নেওয়ার সময় আরেক পুলিশ কর্মকর্তা এগিয়ে এসে তার গায়ে হাত দেয়। এরপর তাকে মাটিতে নুইয়ে ফেলা হয় এবং আরও পুলিশ কর্মকর্তা এসে তাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরে।