ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে (৩৫) হত্যাচেষ্টা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো দুইজনকে আটক করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। আজ রবিবার ভোরে তাদেরকে আটক করা হয়। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনর্চাজ আমিরুল ইসলাম।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার বানিয়াল পালশা গ্রামের খোকা শখের ছেলে মো. শাহজাহান (শেখ) এবং চক বাসুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সোহেল রানা।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান আসামি আসাদুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম, একই গ্রামের সইমুদ্দিনের ছেলে সুলতান ও ধিরেন্দ্র নাথের ছেলে শ্যামল চন্দ্রকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
আটকৃতরা ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে জানান পুলিশ।
গত বুধবার রাত ৩টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসভবনে গভীর রাতে ঢুকে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। বাড়ির টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে ঢুকে শোবার ঘরে গিয়ে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে তাঁর শরীরে আঘাত করা হয়। বাধা দিতে গেলে ওয়াহিদার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও (৬৫) হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হামলাকারীরা। এরপর শুক্রবার পুলিশ ও র্যাবের অভিযানে চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় হিলির কালীগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করা হয় অন্যতম আসামি আসাদুল ইসলামকে। অপর অভিযানে রাতে র্যাব সদস্যরা ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর, সিংড়া যুবলীগ সভাপতি মাসুদ ও নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশকে আটক করে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ