বুধবার , ১৩ জুলাই ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ইউএনও পিটিয়ে থানায়: পুঠিয়ার সেই হকারকে ৫ ঘন্টা পরে ছেড়ে দিল পুলিশ

Paris
জুলাই ১৩, ২০১৬ ৮:৩০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবার পুঠিয়ার সেই ইউএনও পত্রিকা বিক্রেতাকে আটক করে বেধড়ক পিটিয়ে থানায় দিয়েছে। একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পুঠিয়ায় ইউএনও আতংক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদপত্র বিক্রির সময় পুঠিয়ার ইউএনও নুুরুজ্জামান তার কথিত ভাই মানিককে দিয়ে পত্রিকা বিক্রেতা উৎপলকে আটক করান।
এসময় বাসায় নিয়ে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে তাকে ইউএনও’র গাড়ীতে করে থানায় পাঠানো হয়। উৎপল সমকাল, যুগান্তর, প্রথম আলোসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি করতো। এঘটনার ৫ ঘন্টা পর মুচলেকা নিয়ে উৎপলকে থেকে থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

পুঠিয়ার সংবাদপত্র এজেন্ট (এলআর সংবাদপত্র পরিবেশক) কেএম রেজা জানান, উৎপল ঢাকার সব জাতীয় দৈনিক পত্রিকা তার কাছ থেকে নিয়ে বিক্রি করতো। বুধবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পুঠিয়ায় ইউএনও আতংক’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে ইউএনও নুরুজ্জামানের বিভিন্ন অনিয়ম, মানুষকে মারপিটের বর্ননা প্রকাশ হয়। বুধবার দুপুরে পুঠিয়া ত্রিমোহনি মোড়ে পত্রিকা বিক্রির সময় ইউএনও’র কথিত ভাই মানিক সংবাদপত্র বিক্রেতা উৎপলকে আটক করে মারপিট করে।
এসময় মানিক ফোন করলে ইউএনও নুরুজ্জামানের গাড়ী ঘটনাস্থলে চলে আসে। তখন উৎপলকে গাড়ীতে তুলে ইউএনও’র বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কেএম রেজা অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউএনও নিজে তার বাসভবনে নিয়ে উৎপলকে পিটিয়েছে। এরপর তাকে ইউএনও’র গাড়ীতে করে থানায় পাঠানো হয়।’

বুধবার দুপুরে পুঠিয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, ‘উৎপলকে আমি আটক করিনি। ইউএনও তাকে আমার কাছে জমা রেখেছেন। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিনি যে কাউকে আটক করতে পারেন। এখন উৎপলের বিষয়ে ইউএনও যা সিদ্ধান্ত দেবেন তাই হবে।’

এব্যাপারে ইউএনও নুরুজ্জামান বলেন, ‘উৎপল ইউএনওকে গালাগালি করছিলো। তার বিরুদ্ধে অন্য একটি অভিযোগও আছে। ভ্রাম্যমান আদালতে তার বিচার করা হবে।’ তার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযোগটি পরে জানাবো।’ তার কথিত ভাই মানিকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও নুরুজ্জামান এই নামে কোন ভাইকে চেনেন না বলে দাবি করেন।
এব্যাপারে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘পত্রিকা বিক্রির অপরাধে কোন হকারকে ইউএনও আটক করতে পারেন না। ইউএনও’র সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে দেখছি।’

বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় পুঠিয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘উৎপলকে থানায় পাঠানোর পর ইউএনও কোন খোঁজ খবর নেয়নি। ফোনেও ইউএনওকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে মুচলেকা নিয়ে সংবাদপত্র এজেন্ট কেএম রেজার জিম্মায় উৎপলকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টায় ইউএনও নুরুজ্জামানকে পক্ষ থেকে ফোন করা হলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর পুঠিয়ায় পৌরসভা নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পুঠিয়ার ইউএনও নুরুজ্জামান দৈনিক সমকাল ও এটিএন নিউজের ব্যুরো প্রধান সৌরভ হাবিব, তার ক্যামেরাপার্সন রবিউল ইসলাম খোকন ও এক সহযোগীকে ২১ ঘন্টা আটক করে রাখেন। পরে তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
স/আর

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর