মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা বুঝতে পেরেছিল যে, গাজীপুরে তাদের অবস্থা দিন দিন খুবই নাজুক ও ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে। সেজন্যই আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়েছিল। আর আজ হত্যাকারীরা বলে এ দেশে গণতন্ত্র নেই। জীবিত থাকলে তিনি এ অপরাজনীতির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারতেন।
আওয়ামী লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, গুম-খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। এখন বিএনপি বলে, এ দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই।
তিনি আরও বলেন, আহসানউল্লাহ মাস্টার বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছিলেন। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় রাজপথে তাকে পেটানো হয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ এবং অকার্যকর রাষ্ট্র পরিণত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সবাইকে এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মো. আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।