আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন দেশটির ডানঘেঁষা গণতন্ত্রপন্থী নেতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জেভিয়ার মিলে (৫৩)। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও আর্জেন্টিনার সাবেক অর্থমন্ত্রী সের্গিও মেসাকে (৫১) ১২ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাপক মূল্যস্ফীতি এবং তার জেরে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা এবং বাড়তে থাকা দারিদ্রের চাপে বিপর্যস্ত আর্জেন্টিনায় নির্বাচনের শুরু থেকেই খানিকটা সুবিধাজনক জায়গায় ছিলেন জেভিয়ার। কিন্তু তারপরও তার ৫৬ শতাংশ ভোট অর্জনকে ‘আশার চেয়েও বেশি’ বলে মনে করছেন অনেকেই।
‘আমরা পিছু হটব না; সামনে এগিয়ে যাবো এবং এই সংকট পরিস্থিতিকে অতিক্রম করব।’
২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী এফরেইন ভিভেরো তাদের মধ্যে একজন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এই ঐতিহাসিক বিজায় উদযাপন করতে এসেছে। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। (জেভিয়ার) মিলে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক। মেসা আসলে আমাদেরকে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে নেতৃত্ব দিতে পারতেন না; এখন আমরা আমাদের নেতাকে পেয়ে গেছি।’
চলতি বছর জাতীয় নির্বচানে জয়ের মধ্যে দিয়ে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া রাজনীতিতে পেরোনিস্ট পার্টির গত ৮৩ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়েছেন জেভিয়ার মিলে।
মিলে ব্যাপকভাবে গর্ভপাতবিরোধী, অস্ত্র আইন সহজ করার পক্ষে এবং আর্জেন্টিনার নাগরিক পোপ ফ্রান্সিসের সমালোচক। তার প্রথম দু’টি বৈশিষ্টের সঙ্গে মার্কিন রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টির মতাদর্শের মিল রয়েছে।
ভোটের পরাজিত প্রার্থী সের্গিও মেসার সমর্থক এবং স্কুলশিক্ষিকা সুসানা মার্টিনেজ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘জেভিয়ারের নীতির কথা ভাবলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে উঠি।’