এমনকি চলতি মৌসুমের শুরুতেও যখন কোর্তোয়া বড় ইনজুরিতে পড়েন তখনো তাকে তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবেই থাকতে হয়। কেননা চেলসি থেকে কেপা আরিসাবালেগাকে ধারে নিয়ে আসে রিয়াল। সেই কেপার সঙ্গে লড়াই করে প্রথম একাদশে ঠিকই জায়গা করে নেন লুনিন। গতকাল তো নিজেকে নায়কেই পরিণত করলেন। ১২০ মিনিটের লড়াইয়ে ৮বার সিটিকে গোলবঞ্চিত করার পর টাইব্রেকারে ঠেকিয়ে দেন বের্নার্দো সিলভা ও মাতেও কোভাচিচের শট।
ম্যাচসেরার পুরস্কার যদিও উঠেছে ফেদে ভালভার্দের হাতে। তবে তা নিয়ে লুনিনের মনের খেদ নেই। সেটা তার কথাতেই স্পষ্ট। নয়তো কেনই বা নিজেকে সবচেয়ে সুখী মানুষ বলে দাবি করবেন।
লুনিন বলেন, ‘আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। পরিশ্রমের ফসল এটি। রিয়াল মাদ্রিদকে সাহায্য করতে পেরে আমি খুশি এবং আমার পাশে থাকার জন্য এই দলকে ধন্যবাদ। ‘
টাইব্রেকারে প্রথমে বের্নার্দো সিলভার পেনাল্টি ঠেকানোর পেছনে ভাগ্যের কৃতিত্ব দিলেন লুনিন, ‘যেকোনো একটি শটের ক্ষেত্রে আমাকে ঝুঁকি নিতেই হতো। আমরা ঠিক করলাম যে, সিলভার শটের সময় আমি মাঝখানেই থাকবে এবং ইশ্বরকে ধন্যবাদ, এটি আমাদের পক্ষে কাজে দিয়েছে। ‘
‘চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা এটি এবং আমরা প্রচুর ভোগান্তির মধ্য দিয়ে গেছি। নিজের সবকিছু দিয়ে লড়াই করায় আমি দলের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। আমার সতীর্থরা আজ যেভাবে দৌড়েছে, তাদের মতো করে এমনভাবে দৌড়ানোর কথা আমি কল্পনাও করতে পারি না। ‘
রিয়ালের সঙ্গে ছয় বছরের সম্পর্ক হলেও লুনিনের অভিজ্ঞতার পরিসর খুব ছোট। গতকালের আগে কখনো ১২০ মিনিটের ম্যাচ খেলেননি তিনি। সেখানে টাইব্রেকার তো দূরের কথা। আনকোরা হয়েও দুটো চ্যালেঞ্জই বেশ ভালোভাবে সামলেছেন ২৫ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।
তিনি বলেন, ‘অনেক ম্যাচ আছে যেখানে আপনাকে সংগ্রাম করতে হয়, চ্যালেঞ্জ গুলো জয় করতে হয়, সবসময় তো আর বল দখলে থাকে না ও সেরা দল হওয়া যায় না। আজ (গতকাল) তেমনই এক রাত ছিল। আমার জন্য এটি ছিল অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। আমি ক্লান্ত, এই প্রথম আমার ক্যারিয়ারে এমন ম্যাচ খেললাম; যেখানে ১২০ মিনিটের লড়াই, পেনাল্টি, চাপ ও দায়িত্ব ছিল। দিনশেষে এই অনুভূতির ব্যাখ্যা করা কঠিন।