সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
তরুণদের দেশের নেতৃত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশ তোমাদের হাতে। তোমাদের হাতে এ দেশের ভবিষ্যত নির্মিত হবে। বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে আজকে নতুন বিজয় সৃষ্টি হলো।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘তরুণ সমাজ এটা সম্ভব করেছে। তাদের প্রতি আমরা সমস্ত কৃতজ্ঞতা জানাই।’
সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, দেশবাসীর প্রতি আবেদন- আপনারা আমার উপর বিশ্বাস রাখেন। আমার কথা শোনেন। সহযোগিতা করেন।’
আমার প্রথম কথা হলো আপনারা বিশৃঙ্খলা থেকে দেশকে রক্ষা করুন। সহিংসতা বন্ধ করুন। বাংলাদেশ খুব সম্ভাবনাময়ী একটি দেশ। এ দেশকে আমাদের গড়তে হবে।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘নতুন বিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন বিজয় দিবস শুরু করল। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। যারা এটি করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তারা (সমন্বয়কেরা) দেশকে রক্ষা করেছে। দেশকে পুনর্জন্ম করেছে।
এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আজকে আমার আবু সাঈদের (রংপুরে গুলিতে নিহত বেগম রোকোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী) কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁধে আছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এরপরই তিনি বিমানবন্দরে এসব কথা বলেন।
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দেশবাসী কাছে আমার ওপরে বিশ্বাস রাখেন, ভরসা রাখেন, দেশে কারও ওপর কোনো হামলা হবে না।’
এর আগে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে বহনকারী বিমান বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে অবতরণ করে। তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে রয়েছেন সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর প্রধানগন। একই সঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
শেখ হাসিনার পতনের পর নানা জটিলতা শেষে অবশেষে সরকার প্রধান হিসেবে আজ রাত ৮টায় শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। এর মাধ্যমে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে।