সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার পাঁচ নম্বর আসামি ইফতি মোশাররফ সকালের বাবা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। শনিবার গভীর রাতে তার মৃত্যু হয় বলে ইফতির মা রাবেয়া বেগম জানিয়েছেন।
মৃতের নাম ফকির মোশাররফ হোসেন (৪৫)। তার বাড়ি রাজবাড়ী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ধুনচি গ্রামের আটাশকলোনি এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে ছেলে ইফতির শুনানির দিন ছিল। ওইদিন ছেলের শুনানিতে মোশাররফ হোসেন ঢাকায় গিয়েছিলেন।
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই ছেলের জন্য দুশ্চিন্তা করতে থাকেন তিনি। শনিবার রাতে হঠাৎ করে স্ট্রোক করেন তিনি। প্রথমে তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।
পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ৩টার দিকে মারা যান মোশাররফ।
এদিকে স্বামীর মৃত্যুতে পাগলপ্রায় রাবেয়া বেগম। শনিবার দুপুরে ইফতিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বামীর জন্য বিলাপ করছেন আর বলছেন, ‘ছেলে জেলে, স্বামীও চলে গেল। এখন আামি কী করব।’
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে গত বছরের ৫ অক্টোবর বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার। এর জেরে পর দিন রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়।
নৃশংস এ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটভুক্ত এই ২৫ আসামিসহ মোট ২৬ ছাত্রকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।