বুধবার , ২ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

আজহারীকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

Paris
অক্টোবর ২, ২০২৪ ৭:৫১ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর দেশে ফিরেছেন।

বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন,‘আলহামদুলিল্লাহ, সালামাতে প্রিয় মাতৃভূমিতে এসে পৌঁছালাম। পরম করুণাময় এই প্রত্যাবর্তনকে বরকতময় করুন। দুআর নিবেদন’।

এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর পরই লাখ লাখ ভক্ত ও শুভাকাঙ্খী স্বাগত জানিয়ে ওই পোস্টে কমেন্ট করছেন। সেখানে আরেক আলোচিত ইসলামিক বক্তা ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ স্বাগত জানিয়ে লেখেন, ‘স্বাগতম। আপনার এই প্রত্যাবর্তন বরকতময় হোক। দীন ও দেশের জন্য কল্যান বয়ে আনুক।

এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। তখন তিনি এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘পারিপার্শ্বিক কারণে এবং গবেষণার জন্য’ তিনি আগামী মার্চ পর্যন্ত সব ওয়াজ মাহফিল বন্ধ রেখে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন।

তিনি ওই পোস্টে লেখেন, ‘পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে এখানেই এবছরের তাফসির প্রোগামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই মার্চ পর্যন্ত আমার বাকী প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হল। রিসার্চের কাজে আবারও মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে আবারও দেখা হবে ও কথা হবে ইনশাআল্লাহ।’

২০২০ সালে দেশ ছাড়ার পর প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর বুধবার দেশে ফিরলেও স্বৈরাচার শাসক শেখ হাসিনার পতনের পরদিন ৬ আগস্ট এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, শিগগিরই দেশে ফিরবেন। ওই সময় তিনি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘অনেকে জানতে চেয়েছেন আমি কবে দেশে ফিরবো। দ্রুত দেশে ফিরব, আপনাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছি।

মিজানুর রহমান ১৯৯০ সালের ২৬ জানুয়ারি ঢাকার ডেমরায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লার মুরাদনগরের পরমতলা গ্রামে। তার বাবা একজন মাদরাসার শিক্ষক। তার পরিবারে মা-বাবা ও এক ভাই রয়েছে।

মিজানুর রহমান ঢাকার ডেমরায় অবস্থিত দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা থেকে ২০০৪ সালে দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০০৬ সালে আলিম পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ লাভ করেন। ২০০৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত মিসর সরকারের শিক্ষাবৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্রাজুয়েট করার জন্য মিসরে যান। সেখান থেকে ডিপার্টমেন্ট অব তাফসির অ্যান্ড কুরআনিক সায়েন্স থেকে ২০১২ সালে শতকরা ৮০ ভাগ সিজিপিএ নিয়ে অনার্স উত্তীর্ণ হন।

মিসরে পাঁচ বছর শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করার পর ২০১৩ সালে মালয়েশিয়া যান। সেখানে গার্ডেন অব নলেজ খ্যাত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব কোরআন অ্যান্ড সুন্নাহ স্টাডিজ থেকে ২০১৬ সালে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন শেষ করেন।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - ধর্ম