সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
জাতীয় সম্মেলনের দুই সপ্তাহ পর আজ আনুষ্ঠানিক যাত্রা করছে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী সংসদ। সকাল ১০টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের এবং সন্ধ্যা ৬টায় গণভবনে যৌথ সভা হবে। এর মধ্য দিয়ে তিন বছর মেয়াদি নতুন কমিটির নেতারা কাজ শুরু করবেন। আজকের বৈঠকে গ্রহণ করা হবে বছরব্যাপী সাংগঠনিক কর্মসূচি। এর মধ্যে জেলা-উপজেলায় সম্মেলন ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে যাবতীয় কর্মকান্ড। একই সঙ্গে বিভাগের দায়িত্ব বণ্টন করা হবে যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের। দলের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত বছরের ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন কাউন্সিল অধিবেশনে সভানেত্রী-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সম্পাদকম-লীর ৪২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর রাতে ৩২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। আজ সকাল ১০টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রথম বৈঠক হবে। এরপর মুলতবি দেওয়া হবে। সন্ধ্যা ৬টায় গণভবনে মুলতবি বৈঠক আবার শুরু হবে। এ বৈঠকেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক সূত্র জানান, আজকের বৈঠকে প্রথা অনুযায়ী প্রথমে পরিচয় পর্ব হবে। যারা প্রথমবারের মতো যাঁরা দলের দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁদের কথা শুনবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ১০ জানুয়ারি জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ১৭ মার্চ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। এজন্য বছরব্যাপী দলীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হতে পারে। একই সঙ্গে দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব বণ্টন করা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রথম বৈঠকে বিভাগীয় যুগ্মসাধারণ ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব বণ্টন করা হতে পারে। এ ছাড়া দিবসভিত্তিক কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হবে।’ সূত্রমতে, ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোট। গত জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতোই আসন্ন সিটি নির্বাচনে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সেজন্য আজ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলটির নবনির্বাচিত সদস্যদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে। বিগত সিটি নির্বাচনের মতোই দুজন সিনিয়র নেতাকে প্রধান সমন্বয়ক করে কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও গঠন করা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে আরও জনপ্রিয় করতে সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ করবও। একই সঙ্গে সামনে দুটি সিটি নির্বাচন আছে সেগুলোর বিষয়েও দলের নেতাদের করণীয় কী সে সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিতে পারেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।’ বঙ্গবন্ধুর শতজন্মবার্ষিকী উদ্যাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শেখ রেহানাসহ ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৬১ সদস্যের একটি বাস্তবায়ন কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস থেকে জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে ক্ষণ গণনা শুরু হবে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। মুজিববর্ষকে সর্বজনীনভাবে পালনের জন্য কর্মসূচিও হাতে নেবে আওয়ামী লীগ। এজন্য জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে কর্মসূচি নেবে আওয়ামী লীগ। আজকের বৈঠকে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। এ দলের জনপ্রিয়তা অনেক। কাজও অনেক। এ বৈঠকে মুজিববর্ষ পালনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। মুজিববর্ষ আমরা গ্রাম পর্যায়ে পালন করব। সে লক্ষ্যেই সব কর্মসূচি হাতে নেব।’