সব বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের ১৩তম আসর। প্রথমত করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় ছয় মাস পিছিয়ে গেছে টুর্নামেন্ট। তার ওপর আবার চেন্নাই সুপার কিংস শিবিরে করোনা হানা দেয়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল টুর্নামেন্টের ভবিষ্যত নিয়ে।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়াবে এবারের আইপিএল। যদিও এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেনি আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এর পেছনে অন্যতম কারণ এবারের আইপিএলের আয়োজক দেশ আরব আমিরাতের ভ্রমণসংক্রান্ত বিধিনিষেধ এবং চেন্নাইয়ের প্রথম ম্যাচ খেলতে অপারগতা।
এদিকে এবারের আইপিএলের সবকিছুই দেরি করে হওয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অভিযোগ করছে, তাদের এবার ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়ে যাবে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবারের আইপিএল থেকে অন্তত ১৫০ কোটি রুপি করে আয় করবে একেকটি দল।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এখন যখন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ভাবা উচিৎ দেশের করোনা পরিস্থিতিতে কীভাবে সামনে এগিয়ে আসা যায়, তখন তারা টাকা গুনতে বসে গেছে। তারা কি অর্থ উপার্জন করছে না? এবারের আইপিএলের প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ১৫০ কোটি রুপির আশপাশে আয় করবে।’
শুধু নিজেদের ক্ষতির অভিযোগই নয়, রীতিমতো ক্ষতিপূরণের আবদারও নাকি করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে বিসিসিআই কর্মকর্তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না কোনো দলকে। তার মতে, এবার আইপিএল না হলে আরও বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হতো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে।
সেই কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো নির্বোধের মতো কথা বলছে। যদি এ বছর কোনো আইপিএল না হতো? তারা কোনো উপার্জন করতে পারত? এর বাইরেও কত প্রশ্ন, কারা এজেন্সিগুলোকে টাকা দেবে? ম্যাচ পরিচালনার খরচ কারা বহরন করবে? প্র্যাকটিস সেশনের খরচ কারা দেবে? বোর্ড নিজেদের অবস্থানে অনড়, কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ এখানে থাকবে না।’
সূত্রঃ জাগো নিউজ