নানা আলোচনা ও সমালোচনার পর অবশেষে গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্ত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)।
মঙ্গলবার দুপুরে বিএসএমএমইউ থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি জানান, চিঠিতে পরীক্ষার খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট জমা দেওয়া জন্য বলা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গণস্বাস্থ্যকে বিএসএমএমইউ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর ফলে কিট পরীক্ষায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করি।
তিনি বলেন, দুপুর দুইটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার খরচ বাবদ চার লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়েছে। এটা সরকারি খরচ, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। দুপুর দুইটায় চিঠি আসায় আজকে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারিনি, কাল বুধবার জমা দেব। একই সঙ্গে বিএসএমএমইউ কমিটি কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য দুইশত কিট চেয়েছেন সেটাও কাল এগারোটার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মহামারী করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় স্বল্পমূল্যের কিট উদ্ভাবন করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। সরকার প্রথম দিকে সেটি গ্রহণ করেনি। এ নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যে ৩০ এপ্রিল সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) বা আইসিডিডিআরবিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেয়া হয়।
২ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ এই কিট তৈরি করেন।