সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
থাকেন অন্যের ঘরে, আবেদন করেও সরকারি ঘর পাননি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী (রাতকানা) মোস্তফা করাতি (৫০)। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সরকারি ঘরের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদনও করেছিলেন তিনি।
মোস্তফা করাতি শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড উত্তর ডামুড্যা গ্রামের মৃত রশিদ করাতির ছেলে। তার নিজের কোনো জায়গা না থাকায় প্রতিবেশী এক চাচার ছোট্ট একটি ঘরে থাকেন তিনি। সেই জরাজীর্ণ ও বৃষ্টি হলেই ঘর বেয়ে পানি পড়ে এমন একটি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এই হতদরিদ্র দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী।
শুক্রবার (৬আগস্ট) সকাল ৮টায় সরেজমিন সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ছোট একটি জরাজীর্ণ ভাঙা ঘরে শুয়ে আছেন অসহায় হতদরিদ্র মোস্তফা করাতি।
তার কাছে যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া হলে মোস্তফা বলেন, আমি খুবই কষ্টে দিন কাটাই, আগে পরিচিতজনরা কিছু টাকাপয়সা দিত। আর উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের দেওয়া বছরে ৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কোনো রকম চলছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাস আসার পর থেকে এখন আর পরিচিত কেউ টাকাপয়সা দেয় না।
তিনি আরও জানান, মেম্বারের ( ইউপি সদস্য) মাধ্যমে একটি সরকারি ঘরের জন্য আবেদন করছিলেন তিনি। কিন্তু এখনো ঘর পাননি। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, প্রতিবেশি কেউ তাকে খাবার দিলে তিনি খেতে পান।
মোস্তফার প্রতিবেশী হাশেম করাতি জানান, মা-বাবা কেউ জীবিত নেই, তারা অনেক দিন আগে মৃত্যুবরণ করেন। মোস্তফা রাতকানা ও অসুস্থ। ঠিকমতো চলাচল করতে পারেন না। এ কারণে আশপাশের কেউ যদি রান্না করে দেয় তা হলে ও খাইতে পারে, নইলে অনেক সময় না খেয়েও থাকেন। তার জন্য একটি সরকারি ঘর খুবই প্রয়োজন।
এ বিষয়ে দারুল আমান ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. সবুজ বলেন, প্রায় এক বছর আগে হতদরিদ্র দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মোস্তফা করাতির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। তখন মোস্তফার এন আইডি কার্ডের কপি ও ছবি নিয়েছেন ওবং ঘর দেওয়ার আশ্বাস দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, আজকেই মোস্তফা করাতির সঙ্গে দেখা করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা ও ঘরের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
সূত্র: যুগান্তর