ক্ষুব্ধ হতাশ বিএনপি আরো ধৈর্য্য ধরবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

হাইকোর্ট থেকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়ার কিছুটা ক্ষুব্ধ ও হতাশ বিএনপি। তবে তারা আরো ধৈর্য্য ধরার পক্ষে। সে অনুযায়ী আগামী পদক্ষেপ নেবেন দলটির নেতারা। আজ রবিবার রায়ের পর হাইকোর্টে এবং গত শনিবার বিকেলে থেকে রাত পর্যন্ত গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আইনজীবীদের বৈঠকের পর এমন মত এসেছে।

হাইকোর্টেও রায়ের পরপরই সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। সেখানে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে রয়েছেন- নিম্ন আদালত থেকে নথি দ্রুত উচ্চ আদালতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা। এজন্য তিনি বেশ কয়েকজন আইনজীবীকে দায়িত্ব দিয়ে সক্রিয় থাকতে বলেছেন। এছাড়াও চেয়ারপারসনের নামে যে ৫টি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে, সেগুলোর আনুসাঙ্গিক কাগজও প্রস্তুতি রাখার কথা বলেন।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কনফারেন্স রুমে এ বৈঠক ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ। জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, আশা করেছিলাম আজই হাইকোর্ট জামিন দিয়ে দেবেন। কিন্তু তা না হওয়ার আমরা কিছুটা হতাশ। কিন্তু আমরা বসে নেই। আইনি ও রাজপথ দুই দিকেই লড়াই চলবে।

‘পরবর্তী পদক্ষেপ কী’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ১৫ দিনের মধ্যে মামলার নথি চেয়ে হাইকোর্টের চিঠি রিসিভ করেছেন নিম্ন আদালত। এখন আমরা চেষ্টা করবো কালকে বা পরশু’র মধ্যে এই নথি উচ্চ আদালতে যাতে আসে। নিম্ন আদালতের সংশিস্নষ্ট দপ্তর দেরি করলে তাও আমরা পিটিশনের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের নজরে আনব। যত দ্রুত সম্ভব এই নথি এনে আমরা জামিন প্রার্থনা করবো।

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় গুলশানের কার্যালয়ে প্রথমে আইনজীবীদের সঙ্গে বসেন সিনিয়র নেতারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও ব্যারিস্টার আব্দুর রেজাক খান, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, ব্যারিস্টার কাওসার কামাল, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, নিতায় রায় চৌধুরী, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, জয়নাল আবেদীন ও মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার বসে সিনিয়র নেতারা। ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস ও আমির খসরম্ন মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

একটি সূত্রের দাবি, খালেদা জিয়ার মুক্তি ত্বরান্বিত এবং সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে ৭ বিভাগে জনসভা করার চিন্তাভাবনাও এসেছে। তবে এখই এ বিষয়ে তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। জনসভার আগে ২ দিনের লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে জেলায় জেলায় মতবিনিময় করার কর্মসূচি আসতে পারে। জামিন প্রক্রিয়া দীর্ঘ হলে জনসভার মতো বড় ধরনের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।