সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
শীতের মৌসুম চলছে। আর এই সময়ে অনেকেরই মৌসুমি অ্যালার্জিঘটিত সমস্যা দেখা দেয়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মৌসুম অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে যায় অনেকটা।
এ সময় অনেকের চোখ দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি দিতে দিতে নাক লাল হয়ে যায়, জ্বর জ্বর ভাব, মেজাজ খিটখিটে হতে পারে।
শীতের এই তীব্রতায় কোল্ড অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করেই নিরাময় পেতে পারেন আপনি।
পেঁয়াজের রস :
এই শীতে মৌসুমি অ্যালার্জি কমাতে পেঁয়াজের রস দারুনভাবে সাহায্য করবে। পেঁয়াজের রস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
বিশেষত, হাঁচি রোধ করতে এই রস বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল :
সাইট্রাস জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি থাকায় এগুলো শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কাজ করে। এসব ফলের মধ্যে কমলা, লেবু, জাম্বুরা বেশ উপকারী। এ ধরনের ফল বা জুস মৌসুমি অ্যালার্জির সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে। এ কারনে প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় এ ধরনের ফল রাখা উচিত।
ঝাল খাবার :
ঝাল এবং গরম খাবার নাক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এর ফলে হাঁচি হাঁচি দিতে দিতে নাক লাল হয়ে যাওয়া এবং চোখ দিয়ে পানি পড়ার হাত থেকে রেহাই পাবেন আপনি।
হারবাল চা :
হারবাল চা-ও মৌসুমি অ্যালার্জির জন্য দারুন উপকারী। এই চায়ে রয়েছে বিশেষ ধরনের উপাদান যা আপনাকে অ্যালার্জিতে আক্রান্তের হওয়া থেকে রক্ষা করবে অনেকটা।
আখরোট :
নিয়মিত আখরোট খেলে মৌসুমি অ্যালার্জির উপসর্গ কমে যায়। এতে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেশিয়াম থাকায় কাশি কমাতে সাহায্য করে। আখরোটে থাকা ভিটামিন-ই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যালার্জির হাত থেকে রক্ষা করে।
আপেল :
পেঁয়াজের রসের মতো আপেলও বেশ উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন আপেল খেলে মৌসুমি অ্যালার্জির ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
তথ্যসূত্র : এনডিটিভি