আ’লীগ নেতা কালাম অপহৃত হননি, আদালতে স্বীকার করলেন নিজেই

পুঠিয়া প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ অপহরণ হননি বলে তিনি নিজেই আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

শনিবার রাজশাহীর সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বিকাশ চন্দ্র রায়ের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ দাবি করেছেন আবুল কালাম আজাদ।

জবানবন্দিতে তিনি স্বীকার করেন, তাকে কেউ অপহরণ করেনি। সে স্বেচ্ছায় মাইক্রোবাস যোগে নাটোরের কাফুরিয়া এলাকায় নেমে যান। তাকে অপহরণের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে থানায় দায়ের করা অপহরণ মামলাটি না জেনেই করেছে তার ছেলে।

১৬৪ ধারার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভূইয়া। তিনি জানান, আবুল কালাম আজাদ বাড়িতে ফিরে এসেছেন তার পরিবারের দেয়া এমন সংবাদে আজ শনিবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার বিড়ালদহ এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে দুপুর ২ টার দিকে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করতে  আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওসি জানান,  সাদা পোশাকে ৪-৫ জন যুবক সাদা মাইক্রোবাস যোগে গত ২৮ আগস্ট বুধবার রাত ৮ টার দিকে বানেশ্বর বনিক সমিতির কার্যালয় থেকে আবুল কালাম আজাদকে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার পরিবার অভিযোগ কর। অভিযোগের ভিত্তিতে পুঠিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি অপহরণ মামলা করে তার ছেলে।

মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ ঘটনার একদিন পরই মাইক্রোবাসটির চালককে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। চালকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই অনেক পরিস্কার হওয়া যায় অপহরণের ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত সাজানো নাটক।

এদিকে পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা কালাম অপহরণ হননি, সেটা তার পরিবারের লোকজন জানতো। কিন্তু তার পরেও জেলা যুবলীগ নেতা ওবাইদুর রহমানকে ফাঁসানোর জন্য বার বার চেষ্টা করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত অপহরণ নাটকের অবসান হয়।

 

স/আর