বাগমারায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দখল করে মার্কেট নির্মাণ, থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর বাগমারা থানার সামনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  স্থানীয় আট প্রভাবশালী ব্যক্তি মার্কেট নির্মার্ণ করছেন বাঁধের জায়গায়। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় পৃথক পাঁচটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাগমারার মধ্য দিয়ে যাওয়া বারনই নদীর উত্তর পাশে চলনবিল প্রকল্প পোল্ডার-ডি নামে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয় অনেক দিন আগে। এই বাঁধ নির্মাণের জন্য ওই সময় জমি অধিগ্রহণ করা হয়। বাঁধ নির্মাণের পরও পাশে বেশ কিছু জমি থেকে যায়। এই জমি সম্প্রতি দখল করে বাগমারা থানার সামনে বাঁধঘেঁষে স্থানীয় আট প্রভাবশালী পাকা দালানের মার্কেট তৈরির কাজ শুরু করেন। তাঁরা হচ্ছেন বাগমারা গ্রামের আলতাফ হোসেন, মুনসুর রহমান, তাঁর ভাই রুবেল এবং মোজাম্মেল, একই গ্রামের আতাউর রহমান, রহিদুল ইসলাম ও তাঁর ভাই আতাউর রহমান এবং শ্রীপুর গ্রামের জিল্লুর রহমান। তাঁরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী বলে পরিচিত।

মার্কেট নির্মাণের বিষয়টি জানতে পেরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন গত ১৯ জুলাই সাত দিনের

মধ্যে অবৈধ ওই স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য ওই আট ব্যক্তিকে নোটিশ করেন। কিন্তু তাঁরা মার্কেটটি সরিয়ে নেননি। বরং মার্কেটের বাকি অংশের কাজও করে যাচ্ছেন।

অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, ওই নোটিশের পরও মার্কেট নির্মাণকাজ অব্যাহত থাকায় গত ৩১ জুলাই বাগমারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন উপসহকারী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন। অভিযোগের কপি দেওয়া হয় বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ওই অভিযোগের পরও এখনো মার্কেট নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে। মার্কেটের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি অংশ দ্রুত শেষ করার প্রক্রিয়া চলছে।

মামলার বাদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের জায়গা দখল করে প্রভাবশালী আট ব্যক্তি মার্কেট নির্মাণ করছেন। আমরা নোটিশ করার পরেও কোনো লাভ হয়নি। পরে থানায় মামলা করেছি। কিন্তু পুলিশও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে মার্কেট নির্মাণ অব্যাহত আছে এখনো। ’

বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহমেদ বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে আমাকে দেওয়া হয়েছে। তবে তারপর তারা আর এ নিয়ে কোনো যোগাযোগ করেনি। ফলে জমিজমার বিষয় হওয়ায় আমরা এ নিয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ’

স/আর