রবিবার থেকে রাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা যাচ্ছেন আন্দোলনে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগীয় সভাপতির অপসারণ দাবিতে বিভাগের শিক্ষকরা রোববার থেকে অনশন ধর্মঘটে যাচ্ছেন।

সভাপতির কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ছবি না রাখা ও দায়িত্বে অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিমা জামানের অপসারন দাবি করেছে বিভাগের ১১ জন শিক্ষক।

সভাপতির অপসারন না হওয়া পর্যন্ত রোববার সকাল ৯টা থেকে ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ওই শিক্ষকরা।

এর আগে গত ২ আগস্ট একই অভিযোগে সভাপতির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ১১ শিক্ষক। এদিকে গত ৩১ জুলাই ওই ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অসাদাচারণের অভিযোগ করে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন সভাপতি অধ্যাপক নাসিমা জামান। বিভাগের আরেক শিক্ষিকা ১১ শিক্ষকের একজনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন গত ৩ আগস্ট। পরে গত শুক্রবার বিভাগের ১৩ জন শিক্ষকের মধ্যে ওই ১১ শিক্ষক সংবাদ সম্মেলন করে সভাপতি ও শিক্ষকার করা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষকদের অন্যতম অধ্যাপক এম আমিনুর রহমান বলেন, সভাপতি ও একজন শিক্ষিকা শিক্ষকদের সম্পর্কে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এত করে বিভাগের শিক্ষকদের মানহানি হচ্ছে ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। সভাপতির অপসারন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাশ-পরীক্ষা বর্জনসহ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। আমরা ১১ জন শিক্ষক বসে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সভাপতির অপসারন দাবি করা শিক্ষকরা হলেন- অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রহমান, ড. এসএম রাজী, ড. কফিল উদ্দিন আহমেদ, ড. মো. রুহুল আমিন, ড. এসএম এক্রাম উল্যাহ, সহযোগী অধ্যাপক ড. ফরহাত তাসনীম, মো. তারেক নূর, সহকারী অধ্যাপক মোসা. কামরুন নাহার, ড. একেএম মাহমুদুল হক, ড. মো. সুলতান মাহমুদ, এসএম মোখলেসুর রহমান।

এর আগে গত ৩১ জুলাই সোমবার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোছা. রুখসানা পারভীনের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেয় ওই ১১ শিক্ষক। ওই দিন বিকেলে অভিযুক্ত মোছা. রুখসানা পারভীনও তার বিরুদ্ধে বিভাগের কিছু শিক্ষক ষড়যন্ত্র করছেন উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর পাল্টা অভিযোগ দেন। শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিমা জামান বলেন, ‘অনাস্থা জানিয়ে প্রশাসনকে দেয়া অভিযোগ বিষয়ে আমি এখনও কিছু জানি না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চলমান বিষয়ে দুই পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো উপাচার্যের সঙ্গে কথা হয়নি। কথা হলে প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’

স/অ