‘গুলশানের বাড়িটি মওদুদকে ছাড়তেই হবে’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: আপিল বিভাগের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনটি খারিজ হয়ে যাওয়ার পরও গুলশানের বাড়ি ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহ  মদ।  এরই পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলছেন, বাড়ি অবশ্যই ছাড়তে হবে। বাড়িটা নিয়ে নেওয়া সরকারের দায়িত্ব।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মওদুদ আহমদ তার ভাইয়ের নামে বাড়িটির মূল মালিকের সঙ্গে যে চুক্তি দেখিয়েছিলেন সেটার মামলা আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে গিয়েছিল। রায়ে বলা হয়েছিল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি এবং চুক্তিটা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে হয়েছে। সেটাই মওদুদ আহমদ সাহেব বলতে চান তার ভাইয়ের আইনজীবী হিসেবে, মহসিন দরবার নামে এক লোকের সঙ্গে বাড়িটি নিয়ে চুক্তি হয়েছিল, যিনি বাংলাদেশে ছিলেন। আমরা বলেছি মালিক ইনজে প্লাজ অস্ট্রিয়ান নাগরিক ১৯৮৫ সালের ৩০ মার্চ মারা যান। কথিত মহসিন দরবার ইনজের পক্ষে চুক্তি দেখিয়েছিলেন, যেটা হয়েছে একই সালের আগস্ট মাসে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, তার মানে মালিক মারা যাওয়ার ৫ মাস পর। আর বাড়ি পাওয়ার জন্য উনারা মামলা করেছিলেন ১৯৯৩ সালে। বিচারিক আদালত এবং আপিল বিভাগ ‘রাইটলি’ বলেছেন, তাদের নামে নামজারি হবে না।

রিভিউয়ের আদেশের বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, ‘উনাদের অনুরোধে আদালত বলছে, বিচারে ভুল হয়নি। তবে বিষয়টি দেখব। এখন অবৈধভাবে লোক থাকবে আর সরকার সেটা মেনে নেবে, তা হতে পারে না। ‘

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘এ মামলায় মওদুদ আহমদ একটি পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেখিয়েছিলেন, যেখানে তার ভাই তাঁকে বাড়িটি দেখাশুনা করতে নিয়োগ দিয়েছেন। সুতরাং যেখানে তাঁর ভাইয়েরও কোনো টাইটেল নেই, অধিকার নেই তার মামলা ডিসমিস হয়ে গেছে উচ্চ আদালতে। এ বাড়িতে যে তিনি থাকবেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে এ কথা বলা তো…আমি মনে করি, এর চেয়ে বড় ধৃষ্টতা আর হতে পারে না। ‘

মূল মালিকের সঙ্গে মওদুদ আহমদের বোঝাপড়ার বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, ‘মালিক তো বিদেশি। স্বাধীনতার পরে আসেননি কোনো সময়ই। এখানে ছিলেনই না। উনার এ সমস্ত কথা দুঃখজনক। মূল মালিকের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে মামলায় হেরে গিয়ে এ কথা বলাও দুঃখজনক। এর আগে মওদুদ আহমদ অভিযোগ করেন, আমি বিরোধী দলে আছি বলে আজকে এ মামলায় সাত বছর পরে আপিল করেছে সরকার। ‘